এ সপ্তাহের সব চেয়ে বড় খবর কী ছিল, তা নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। হ্যাঁ, আমি বলছি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খানকে হত্যার দায়ে দু’জন সিনিয়র পুলিশ অফিসারের মৃত্যুদণ্ডের রায়-এর কথা। দু’হাজার কুড়ি সালের জুলাই মাসের সেই হত্যাকাণ্ড তখন সারা দেশে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল।
সে বিষয়ে প্রথমে লিখেছেন চাঁপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাট থেকে মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিঞা:
”পুলিশ বা র্যাবের হাতে ইতিপূর্বে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে অনেক নিরপরাধ মানুষ খুন হয়েছে, এই রায় কি তা প্রমাণ করে না? এসব কথিত হত্যাকাণ্ডের বিচার কি ভুক্তভোগীরা আশা করতে পারে না?
”এই রায় কি সাধারণ মানুষের প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক আইন প্রয়োগে সজাগ করবে না? দেশে গুম খুনের রাজনীতি কি বন্ধ হবে না?”
এই রায়টি প্রমাণ করেছে যে কক্সবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস এবং তার অধীনস্থ পুলিশ সদস্যরা বেআইনি ভাবে মেজর সিনহাকে হত্যা করেছিল।
তবে এই রায়ের সূত্র ধরে এই প্রশ্নটি অবশ্যই করা যায় যে, মাদক ব্যবসা দমনের নামে কক্সবাজার এলাকায় যে সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেগুলোরও তদন্ত আর বিচার কেন হবে না? টেকনাফের ওয়ার্ড কমিশনার একরামুল হকের হত্যাকাণ্ড সেরকমই একটি ঘটনা।